রবিবার, ০৬ Jul ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
আমরা আশা করি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব : সালাহউদ্দিন বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের দাবি ইসলামপন্থীদের ঐক্য : মাসুদ সাঈদী গাজায় গণহত্যার বিরোধিতা: যুক্তরাজ্যে ৮৩ বছরের ধর্মযাজক গ্রেফতার লাগামহীন লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের বড় নির্দেশক : উপদেষ্টা আসিফ বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শহীদ নারীযোদ্ধাদের পরিবার যেন হারিয়ে না যায়: উপদেষ্টা শারমিন হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ ইসলামি এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় আসার আহ্বান ড. ইউনূসের পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১ ,ধ্বংসস্তূপে চলছে জীবিতদের সন্ধান গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ৭৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি

শিশুশ্রম থাকলে অর্থনৈতিক নৈতিকতা থাকে না : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বিগত সরকারের সময় দুর্নীতি আমাদের সকল অগ্রযাত্রাকে উইপোকার মতো খেয়ে ফেলেছে। সে সময়ে প্রত্যেক প্রকল্পেই দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আসছে। আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন, তারা যেন দুর্নীতি না করেন, সেই প্রত্যাশা থাকবে।

শনিবার ঢাকার এফডিসিতে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস-২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, একটি স্বৈরাচার সমাজব্যবস্থার ভেতরে আমরা একটি সংবেদনশীল, যত্নশীল পলিসি প্রত্যাশা করতে পারি না। বিগত সরকার বাল্যবিবাহের মতো একটি সংবেদনশীল সামাজিক বিষয়ের সংজ্ঞা পরিবর্তনের মাধ্যমে বিয়ের বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করে ভয়ংকর উদাহরণ তৈরি করেছিল। ফলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমাদের দীর্ঘদিনের অর্জন টেকসই হয়নি।

যেদেশে আইন করে যৌতুক বন্ধ করা যায়নি, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যায়নি, সেদেশে শুধু আইন দিয়ে শিশুশ্রম বন্ধ করা কঠিন।তিনি বলেন, শিশুশ্রম সম্মানজনক নয়। এটি শিশুর অধিকার হরণ করে। কোনো সমাজে শিশুশ্রম থাকলে সেখানকার অর্থনীতির নৈতিকতা থাকে না।

দারিদ্র ও শিশুশ্রম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই শিশুশ্রম নিরসনে দারিদ্র্য বিমোচনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিশুশ্রম নিরসনে রাষ্ট্র ও সমাজকে মুখোমুখি দাঁড় করানো যাবে না। রাষ্ট্র, সমাজ, প্রাইভেট সেক্টর, উন্নয়ন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান ও আইএলও বাংলাদেশ অফিসের শ্রম প্রশাসন বিভাগের প্রধান নীরান রামজুঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এবং মন্ত্রিপরষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীন।সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার আর্থিকখাতসহ বিভিন্ন খাতে যে রকম লুটপাট করেছে তা আমাদের সকলের জানা। একইভাবে শিশুশ্রম নিরসনে বিগত সময়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের ছাপ রেখে গেছে বিগত সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে বিগত আওয়ামী সরকার দুই দফায় বিভিন্ন প্রকল্পে যে ৩৫২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে তার সুফল পাওয়া যায়নি। প্রকল্পের টাকা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সুবিধা বঞ্চিত শ্রমজীবী শিশু নির্বাচন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও আয় বর্ধণমূলক কাজের জন্য নির্ধারিত টাকা প্রদানে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাই আমরা আশা করবো হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ক্ষমতার পালা বদলে দুর্নীতির যেন পালা বদল না হয়। শিশুশ্রম নিরসনে সচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখের বেশি। পথশিশু রয়েছে ৩৪ লাখ। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত প্রায় ১১ লাখ শিশু।

তিনি আরও বলেন, পথশিশুদের ৯৪ শতাংশই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কোনো সুবিধা পায় না। ৫৮ শতাংশর বেশি পথশিশুর কোনো জন্ম সনদ নেই। এর মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের সাথে বাবা-মায়ের কোনো যোগাযোগ নেই। বাবা-মা কোথায় থাকে সেটাও জানে না। মেয়ে পথ শিশুদের মধ্যে ৪৬ ভাগ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার। পারিবারিক যত্নের অভাবে পথশিশুরা অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। মাদক গ্রহণ, ছিনতাইসহ বিভিন্ন রকম সামাজিক অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়ে এরা। অর্ধেকেরও বেশি পথশিশু কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে জড়িত নয়।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে, আইএলও’র পৃষ্ঠপোষকতায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহায়তায় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ‘শিশুশ্রমের প্রধান দায় রাষ্ট্রের নয়, সমাজের’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন উপসচিব রোকেয়া পারভীন জুই, সিনিয়র সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাবেক বিতার্কিক ড. এস এম মোর্শেদ, চাইল্ড লেবার বিশেষজ্ঞ আফজাল কবির খান ও সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত রিপন। প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ হাজার ও রানার্সআপ দলকে ৩০ হাজার টাকাসহ ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

১২

আন্তর্জাতিক ইসলামী সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন সভায় ইন্দোনেশিয়ার ‘প্রসপারাস জাস্টিস পার্টি’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংসদীয় দলের প্রধান ড. এইচ. জাজুলি জুওয়াইনি এবং একই দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল ড. দানাং আজিজ আকবারোনা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মালয়েশিয়ার এশিয়ান ফোরাম ফর পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (AFPAD)-এর চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ আজমান বিন সৈয়দ আহমাদ নওয়াবি, জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট (JDF)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং International Institute of Advanced Islamic Studies-এর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফাইয বিন মোহাম্মদ নওয়ি সভায় অংশ নেন। এছাড়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহদ শুহাদা বিন ওসমানও সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন সভায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা মুসলিম বিশ্বের ছাত্র ও যুবসমাজের অভিন্ন স্বার্থ, শিক্ষাব্যবস্থা, উচ্চশিক্ষা, গবেষণা এবং নেতৃত্ব বিকাশে যৌথ কার্যক্রম ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বিশ্বাস করেন, একযোগে কাজ করলে মুসলিম তরুণ সমাজকে আধুনিক ও নৈতিক নেতৃত্বের দিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। Jagonews24 Google News Channel জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল। সভায় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামসহ কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েটের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

© All rights reserved © 2024